চবির কলা ভবনের শৌচাগারসমূহের বেহাল দশা

প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ১৪, ২০১৭ সময়ঃ ৭:২৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৩০ অপরাহ্ণ

মিনহাজ তুহিন, চবি প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের শৌচাগারসমূহের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় আকার ধারণ করেছে।এ বিষয়ে বার বার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে দেখা যায়, চার তলাবিশিষ্ট ভবনের প্রতিটি শৌচাগার বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।কয়েকটি শৌচাগারে লাইট না থাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভূতুড়ে পরিবেশে বিরাজ করছে।বেশ কিছু পানির টেপ নষ্ট,অপরিষ্কার ও নোংরা।

টয়লেটের কয়েকটি দরজা ভাঙ্গা ও ছিটকানি নাই।বেশ কিছু বেসিন নষ্ট এবং কয়েকটি শৌচাগারের বেসিনই নাই।অধিকাংশ সময় পানিও থাকেনা।পানি রিজার্ভ করার জন্য যে কয়েকটি ড্রাম রাখা হয়েছে, সেগুলো ময়লা -আবর্জনায় ভর্তি।টয়লেট টিস্যু রাখার ঝুড়িগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।

অন্যদিকে এই ভবনে অবস্থিত কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ১৩ টি বিভাগের ছাত্রীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র শৌচাগার।আরো কয়েকটি থাকলেও সেগুলো শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য সংরক্ষিত।যেটি আছে সেটিও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নুরুল আমিন আক্ষেপের সুরে প্রতিক্ষণ ডট কমকে বলেন,আমাদের টয়লেটের প্রতিটি দরজায় সমস্যা।একটি মাত্র টয়লেটের দরজা কোন রকম ভালো আছে সেখানে সকালে দশ থেকে পনেরো মিনিট লাইনে দাঁড়াতে হয়।ভিতরে গেলে সেখানে এতই নোংরা ও দুর্গন্ধ যে,টয়লেটে প্রবেশ করলেই বমি চলে আসে।

দর্শন বিভাগের ইফতি বলেন,আমাদের ক্লাস তিন তলায় হলেও টয়লেটের প্রয়োজনে দোতলায় যেতে হয়।প্রায়ই টয়লেটে পানি থাকে না বলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুর রউফ অভিযোগের সুরে বলেন,ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকা বাজেট থাকে,কিন্তু আমাদের টয়লেটের অবস্থা যেন বস্তির টয়লেটের চেয়ে খারাপ।তাহলে সরকারি বরাদ্ধকৃত এত টাকা কাদের স্বার্থে!?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.সেকান্দর চৌধুরী প্রতিক্ষন ডট কমকে জানান,আমরা একটি কমিটি করে টয়লেট সংক্রান্ত সব সমস্যা চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠিয়েছি।
কিন্তু প্রকৌশল দপ্তর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন সাড়া পাচ্ছি না।

মেয়েদের টয়লেট সংকটের ব্যাপারে তিনি বলেন,শীঘ্রই আমরা মেয়েদের জন্য আরেকটি টয়লেটের ব্যবস্থা করবো।

তিনি যাবতীয় সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বলেন , প্রশাসনের সহায়তায় অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সব সমস্যার সমাধান করবো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ প্রতিক্ষণকে জানান,গত বছর বাজেট না থাকায় কাজগুলো এতদিন করা হয়নি।নতুন বাজেটে অর্থ বরাদ্ধ পেলে কাজগুলো করে দিবো।

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G